Breaking



20251130

18:57

Tummy Time কী? উপকারিতা ও নিয়ম |

Tummy Time কী? নবজাতককে কত বয়স থেকে দেওয়া উচিত | উপকারিতা ও নিয়ম

Tummy Time কী
Tummy Time কী

 Tummy Time কী?

Tummy Time হলো এমন একটি ব্যায়াম যেখানে শিশুকে জাগ্রত অবস্থায় পেটের ওপর শোয়ানো হয় কয়েক মিনিটের জন্য। এটি শিশুর শরীরের বিভিন্ন পেশী শক্তিশালী করে এবং মোটর স্কিল গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ডাক্তার ও শিশু বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন নিয়মিত Tummy Time করার পরামর্শ দেন।


কত বয়স থেকে Tummy Time দেওয়া উচিত?

শিশুর জন্মের পর থেকেই (১–২ দিন পর) ছোট করে Tummy Time শুরু করা যায়।
শুরুতে সময় কম হবে, ধীরে ধীরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে সময় বাড়ানো হয়।

বয়স অনুযায়ী সময়সীমা:

  • নবজাতক (0–1 মাস): দিনে 2–3 বার, প্রতিবার 1–2 মিনিট

  • 1–2 মাস: দিনে প্রায় 10–15 মিনিট

  • 3–4 মাস: দিনে মোট 20–30 মিনিট

  • 5 মাসের পর: দিনে মোট 30–40 মিনিট বা আরও বেশি
    যত বাচ্চা বড় হবে, তত সে দীর্ঘক্ষণ আরামে Tummy Time করতে পারবে।


Tummy Time কেন গুরুত্বপূর্ণ? (উপকারিতা)

১. ঘাড় ও কাঁধের পেশী শক্তিশালী করে

শিশু মাথা তুলতে শেখে, ঘাড়ের নিয়ন্ত্রণ তৈরি হয়।

২. Plagiocephaly (Flat Head Syndrome) প্রতিরোধ করে

দীর্ঘক্ষণ চিত হয়ে শুলে মাথার পেছন চ্যাপ্টা হওয়ার ঝুঁকি কমে।

৩. মোটর স্কিল দ্রুত বিকাশ করে

ক্রলিং, বসা ও হাঁটা—সব কিছুর ভিত্তি তৈরি হয়।

৪. হাত-পায়ের সমন্বয় ক্ষমতা বাড়ে

শিশু হাত বাড়ানো, খেলনা ধরা ইত্যাদি শিখে।

৫. পেটের উপর চাপ থাকায় গ্যাস কমে

গ্যাস ও পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।


Tummy Time কীভাবে করবেন? (ধাপে ধাপে নিয়ম)

১. নরম কম্বল বা ম্যাটের ওপর পেটের ভর দিয়ে শোয়ান

শিশু যেন আরামদায়ক ও নিরাপদ স্থানে থাকে।

২. সময় কম দিয়ে শুরু করুন

শিশু যদি কেঁদে ফেলে, বিরতি দিন এবং পরে আবার করুন।

৩. মুখোমুখি বসে কথা বলুন

বাচ্চা তখন বেশি উৎসাহ পায়।

৪. রঙিন খেলনা বা র‍্যাটেল সামনে রাখুন

শিশু মাথা তোলে, খেলনার দিকে তাকায়।

৫. কখনোই শিশুকে একা রেখে যাবেন না

নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।


Tummy Time দেওয়ার সময় সতর্কতা

  • শিশুকে দেখাশোনা ছাড়া কখনোই পেটের ওপর রাখবেন না।

  • খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে Tummy Time দিবেন না।

  • বাচ্চার মুখ ম্যাটে চেপে যাচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন।

  • বাচ্চা খুব ছোট হলে বুকের ওপর শুইয়ে Tummy Time করাতে পারেন (Chest-to-Chest)।


শেষ কথা

Tummy Time নবজাতক থেকে শুরু করে বড় হওয়ার পর‍্যন্ত শিশুর শারীরিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত এবং সঠিকভাবে Tummy Time করালে শিশুর ঘাড়, পিঠ, কাঁধের পেশী শক্তিশালী হয় এবং ভবিষ্যতে হাঁটা, বসা ও দাঁড়ানোর মতো স্কিল সহজে শেখে।

আপনার বাচ্চাকে আজ থেকেই ছোট সময়ের জন্য Tummy Time দিন — ভবিষ্যতের সুস্থ বিকাশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস।

20251129

21:03

অঙ্কুরিত আলু ও সবুজ দাগযুক্ত আলু খাওয়া কেন বিপজ্জনক?

 অঙ্কুরিত আলু ও সবুজ দাগযুক্ত আলু খাওয়া কেন বিপজ্জনক? কারণ, উপসর্গ ও প্রতিকার

অঙ্কুরিত আলু ও সবুজ দাগযুক্ত আলু খাওয়া কেন বিপজ্জনক
অঙ্কুরিত আলু ও সবুজ দাগযুক্ত আলু খাওয়া কেন বিপজ্জনক

অঙ্কুরিত আলু ও সবুজ দাগযুক্ত আলু খাওয়া উচিত নয় কেন?

অনেকেই জানেন না যে, অঙ্কুর বের হওয়া আলু বা সবুজ দাগযুক্ত আলু শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে। এই অবস্থায় আলুর ভেতরে সোলানিন (Solanine) নামক এক ধরনের বিষাক্ত আলকালয়েড তৈরি হয়।
সোলানিন কম তাপমাত্রায়, দীর্ঘদিন ধরে রাখা বা আলোতে রাখা আলুতে বেশি তৈরি হয়।

কারণ যেগুলোর জন্য এগুলো খাওয়া উচিত নয়—

1. সোলানিন বিষক্রিয়া

অঙ্কুর এবং সবুজ অংশে সোলানিনের মাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যায়।
এটি শরীরের স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতি করতে পারে।

2. পেটের সমস্যা সৃষ্টি করে

সোলানিন পেটে জ্বালা, ব্যথা ও গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে।

3. খাবার হজমে বাধা দেয়

এই বিষাক্ত উপাদান শরীরের এনজাইমের কার্যক্ষমতা কমিয়ে হজম প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়।

4. বমি-বমি ভাব ও বমি হতে পারে

অঙ্কুরিত আলু খেলে অনেক সময় বমি, বমিভাব বা মাথা ঘোরা দেখা যায়।

5. ডায়রিয়া ও শরীর দুর্বলতা

অতিরিক্ত সোলানিন ডায়রিয়া, ডিহাইড্রেশন এবং ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে।

6. স্নায়ুতন্ত্রে ক্ষতি

উচ্চমাত্রায় সোলানিন গ্রহণ করলে—

  • মাথা ব্যথা

  • মাথা ঘোরা

  • খিঁচুনি (Seizure)
    এর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।


কীভাবে বুঝবেন আলু খাওয়ার অনুপযোগী?

✔ আলুর গায়ে সবুজ দাগ দেখা গেলে
✔ আলু থেকে অঙ্কুর (চারা) বের হলে
✔ আলু কাটলে ভেতরে সবুজাভ রং দেখা গেলে
✔ আলুর গন্ধ অস্বাভাবিক হলে


অঙ্কুরিত আলুর অঙ্কুর ফেলে দিলেই কি খাওয়া যাবে?

অনেকেই অঙ্কুর ফেলে দিয়ে ব্যবহার করেন।
কিন্তু সত্য হলো—
অঙ্কুর ও সবুজ অংশ ফেলে দিলেও ভেতরের সোলানিন পুরোপুরি দূর হয় না।
➡ তাই অঙ্কুরিত বা সবুজ দাগযুক্ত আলু না খাওয়াই নিরাপদ।


নিরাপদ বিকল্প কী?

  • সবসময় তাজা, শক্ত আর দাগহীন আলু ব্যবহার করুন

  • আলু অন্ধকার, ঠান্ডা ও শুকনো জায়গায় সংরক্ষণ করুন

  • আলু যদি নরম হয়ে যায় বা অঙ্কুর বের হয়—ফেলে দিন

  • সবুজ দাগ বা সবুজ রং দেখলে কখনো খাবেন না


শেষ কথা

অঙ্কুরিত আলু ও সবুজ দাগযুক্ত আলু অনেক সময় মূল্য কম হলেও, স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেশি। এ ধরনের আলুতে সোলানিনের মাত্রা অত্যন্ত ক্ষতিকর, যা হজম সমস্যা থেকে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি পর্যন্ত ঘটাতে পারে। তাই নিজের ও পরিবারের সুস্থতার জন্য বরাবরই তাজা ও নিরাপদ আলু বেছে নিন।

08:11

নবজাতককে কখন মধু খাওয়ানো যায়?

 নবজাতককে কখন মধু খাওয়ানো যায়? জানুন সঠিক সময়, নিয়ম ও উপকারিতা|

নবজাতককে কখন মধু খাওয়ানো যায়
নবজাতককে কখন মধু খাওয়ানো যায়

নবজাতককে কতদিন পর মধু খাওয়ানো যায়? উপকারিতা ও সতর্কতা

বাংলাদেশ ও ভারতসহ আমাদের উপমহাদেশে নবজাতককে জন্মের পরই মধু চুষিয়ে দেওয়ার একটি প্রচলিত অভ্যাস আছে। কিন্তু আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান অনুযায়ী এটি শিশুর জন্য খুবই বিপজ্জনক হতে পারে। তাই সঠিক তথ্য জানা খুবই জরুরি।


নবজাতককে কখন মধু খাওয়ানো যায়?

🔴 জন্মের পর ১২ মাস (১ বছর) পর্যন্ত শিশুকে কোনভাবেই মধু খাওয়ানো যাবে না।

🟢 শিশু ১ বছর পূর্ণ হওয়ার পর ধীরে ধীরে অল্প করে মধু খাওয়ানো যেতে পারে।

কেন ১ বছরের আগে মধু দেওয়া যাবে না?

মধুর মধ্যে Clostridium botulinum নামক ব্যাকটেরিয়ার স্পোর থাকতে পারে যা শিশুর অন্ত্রে গিয়ে
Infant Botulism (শিশুর পক্ষাঘাত রোগ) সৃষ্টি করতে পারে।

এটি

  • শ্বাসকষ্ট

  • দুর্বলতা

  • বুক ধড়ফড়

  • খাওয়াতে সমস্যা

  • মারাত্মক অবস্থায় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।

তাই WHO, UNICEF এবং শিশু বিশেষজ্ঞরা একেবারেই নিষেধ করেন।


১ বছর পর শিশুকে মধু খাওয়ানোর উপকারিতা

শিশু ১২ মাস পার হলে অল্প পরিমাণ মধু খাওয়ানোর কিছু উপকারিতা রয়েছে:

⭐ ১. প্রাকৃতিক শক্তি যোগায়

মধু গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ, যা শিশুর বর্ধনের জন্য শক্তি জোগায়।

⭐ ২. হজম ভালো করতে সাহায্য করে

মধুতে প্রাকৃতিক এনজাইম থাকে যা হালকা হজমে সহায়তা করে।

⭐ ৩. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে

এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে শরীরকে নানা ক্ষতিকর জীবাণুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

⭐ ৪. কাশি-সর্দিতে উপকার

বড় শিশুর ক্ষেত্রে গরম জল বা লেবুর সঙ্গে সামান্য মধু গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

⭐ ৫. ঘুম ভালো করতে সাহায্য করে

রাতে ঘুমানোর আগে অল্প মধু দিলে স্নায়ুকে শান্ত করে।


শিশুকে কীভাবে মধু খাওয়াবেন (১ বছরের পর)?

  • প্রথমে অতি অল্প (¼ চা চামচ) দিয়ে শুরু করুন।

  • প্রতিদিন না দিয়ে সপ্তাহে ২–৩ দিন দিন।

  • গরম দুধ বা গরম পানির সাথে মেশাবেন না (পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়)।

  • শিশুর শরীরে কোনো অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করুন।


মধু দেওয়ার আগে যেসব সতর্কতা মানা জরুরি

❌ ১ বছরের নিচে কখনোই দিবেন না
❌ বাজারের ভেজাল মধু এড়িয়ে চলুন
❌ ডায়াবেটিস বা মধু অ্যালার্জি থাকলে দিবেন না
❌ অতিরিক্ত দিলে ডায়রিয়া/পেট ব্যথা হতে পারে


শেষ কথা

নবজাতককে মধু খাওয়ানো আমাদের সমাজের একটি পুরোনো রীতি হলেও এটি শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর—এমনকি জীবনহানির ঝুঁকি থাকে।
শিশু ১ বছর পূর্ণ হওয়ার পরই অল্প পরিমাণে নিরাপদভাবে মধু খাওয়ানো যেতে পারে এবং তখন এটি শরীরের জন্য উপকারীও হতে পারে।

20251127

20:38

ফাস্টফুড বেশি খাওয়া কেন ক্ষতিকর? জানুন ১০টি বড় কারণ

 ফাস্টফুড বেশি খাওয়া কেন ক্ষতিকর? জানুন ১০টি বড় কারণ

ফাস্টফুড বেশি খাওয়া কেন ক্ষতিকর
ফাস্টফুড বেশি খাওয়া কেন ক্ষতিকর

**কেনো ফাস্টফুড বেশি খাওয়া উচিত নয়?

শরীরের ক্ষতির ১০টি বৈজ্ঞানিক কারণ**

আজকের ব্যস্ত জীবনে ফাস্টফুড আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। বার্গার, পিজা, নুডলস, ফ্রাই—স্বাদে চমৎকার হলেও এগুলোর নিয়মিত সেবন শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু ও তরুণদের মধ্যে ফাস্টফুডের প্রতি আকর্ষণ বেশি হওয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে।

নিচে জানুন ফাস্টফুড বেশি খাওয়ার ১০টি বড় ক্ষতি


1️⃣ ওজন দ্রুত বাড়ায় (Obesity Risk)

ফাস্টফুডে থাকে উচ্চ মাত্রায় ক্যালরি, ট্রান্স-ফ্যাট ও চিনি। এগুলো শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমায় এবং খুব দ্রুত ওজন বাড়িয়ে দেয়।


2️⃣ হার্টের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়

ফাস্টফুডে থাকা ট্রান্স-ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (LDL) বাড়ায়, ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।


3️⃣ ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়ায়

চিনিযুক্ত পানীয়, সস, বেকারি আইটেম ইত্যাদি রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায়। দীর্ঘদিন খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।


4️⃣ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে

ফাস্টফুডে ফাইবার থাকে খুব কম। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদহজম দ্রুত দেখা দেয়।


5️⃣ লিভারে চর্বি জমায় (Fatty Liver)

নিয়মিত ফাস্টফুড খেলে লিভারে ফ্যাট জমতে শুরু করে। দীর্ঘদিন পরে এটি নন–অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার-এ পরিণত হতে পারে।


6️⃣ উচ্চ রক্তচাপ বাড়ায়

ফাস্টফুডে সোডিয়ামের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় এবং কিডনির ক্ষতি করে।


7️⃣ ত্বক খারাপ করে (Acne & Skin Problems)

অতিরিক্ত তেল-চর্বি ত্বকে Sebum বাড়ায়, ফলে ব্রণ, র‍্যাশ ও স্কিন ড্যামেজ দেখা দেয়।


8️⃣ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমায়

উচ্চ চর্বি ও চিনি যুক্ত খাবার স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ ও শেখার ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।


9️⃣ মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে

গবেষণায় দেখা যায়, নিয়মিত ফাস্টফুড খেলে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন ও মনমরা ভাব বাড়তে পারে।


🔟 রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়

ফাস্টফুডে পুষ্টি উপাদান কম থাকে। এর ফলে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয় এবং শরীর সহজে অসুস্থ হয়।


ফাস্টফুড কমাতে যা করবেন

  • প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ফল ও হোলগ্রেইন যুক্ত করুন

  • সপ্তাহে ১–২ দিনের বেশি ফাস্টফুড খাবেন না

  • রেস্টুরেন্টের পরিবর্তে ঘরের খাবারে অভ্যস্ত হন

  • পানি বেশি পান করুন

  • শিশুদের জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে রাখতে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস দিন


শেষ কথা

স্বাদ ভালো হলেও ফাস্টফুড শরীরের জন্য ধীরে ধীরে বিষের মতো ক্ষতিকর। নিজের ও পরিবারের সুস্থতার জন্য যতটা সম্ভব ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে মনোযোগ দিন।

17:09

Brain Cell (Neuron) কী? Full Details

 Brain Cell (Neuron) কী? নবজাতকের ব্রেইনে নিউরন তৈরি, সংখ্যা ও আয়ু | Full Details

নবজাতকের ব্রেইনে নিউরন তৈরি, সংখ্যা ও আয়ু
নবজাতকের ব্রেইনে নিউরন তৈরি, সংখ্যা ও আয়ু 

🧠 ব্রেইন সেল (Neuron) কী?

মানুষের মস্তিষ্কে যে কোষগুলো দিয়ে ভাবনা, স্মৃতি, শেখা, অনুভূতি, চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত হয়, সেগুলোকে নিউরন বা Brain Cell বলা হয়।
এগুলো একধরনের বিশেষ কোষ যা ইলেকট্রিক্যাল ও কেমিক্যাল সিগন্যাল ব্যবহার করে শরীরের প্রতিটি অংশে বার্তা পাঠায়।

নিউরনের প্রধান ৩টি অংশঃ

  1. Dendrite: সিগন্যাল গ্রহণ করে

  2. Axon: সিগন্যাল অন্য কোষে পাঠায়

  3. Cell Body (Soma): নিউরনের মূল নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র


🤰 গর্ভে থাকা অবস্থায় নিউরন কিভাবে তৈরি হয়?

মানুষের ব্রেইনে নিউরন তৈরি শুরু হয় গর্ভধারণের ৪–৫ সপ্তাহ থেকে।
এই সময় থেকেই baby-এর Brain Development দ্রুত গতিতে শুরু হয়।

  • 6th week: প্রথম নিউরন তৈরি হয়

  • 2nd trimester (14–26 weeks): সর্বোচ্চ হারে নিউরন তৈরি

  • Birth-এর আগ পর্যন্ত: নিউরন সংখ্যা সম্পূর্ণ হয়

👉 জন্মের পর নতুন নিউরন খুব কম তৈরি হয় (কিছু অঞ্চল ছাড়া)।


👶 জন্মের সময় নবজাতকের ব্রেইনে কতগুলো নিউরন থাকে?

একটি নবজাতক শিশুর ব্রেইনে থাকে প্রায়—

🧠 ৮৬ বিলিয়ন (86,000,000,000) নিউরন

এটাই প্রায় মানুষের পুরো জীবনের ব্রেইনে থাকা মোট নিউরন সংখ্যা।


🧠 জন্মের পর কি নতুন নিউরন তৈরি হয়?

হ্যাঁ, তবে খুব কম এবং নির্দিষ্ট স্থানে — প্রধানতঃ

  • Hippocampus (Memory section)
    এখানে সারা জীবন কিছু নিউরন নতুন করে তৈরি হয়।

কিন্তু বেশিরভাগ নিউরন জন্মের পর আর তৈরি হয় না।


⏳ Brain Cell (Neuron) কতদিন বেঁচে থাকে?

নিউরন হলো মানুষের দেহে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী কোষগুলোর একটি।

➡ অনেক নিউরন মানুষের পুরো জীবন—৭০ থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে।

যতদিন আমরা বেঁচে থাকি, নিউরনের বড় অংশ ততদিনই সক্রিয় থাকে।

তবে

  • স্ট্রেস

  • ঘুমের অভাব

  • মদ্যপান

  • ধূমপান

  • ব্রেইন ইনজুরি

এর কারণে কিছু নিউরন নষ্ট হতে পারে।


🧠 নিউরন কীভাবে কাজ করে?

নিউরন ছোট বৈদ্যুতিক সিগন্যাল তৈরি করে, যা Synapse নামের সংযোগস্থলের মাধ্যমে অন্য নিউরনে যায়।
প্রতি সেকেন্ডে লাখ লাখ সিগন্যাল আদান–প্রদান হয়।

এভাবেই—

  • কথা বলা

  • দেখা

  • শেখা

  • মনে রাখা

  • চলাফেরা

  • আবেগ নিয়ন্ত্রণ

সবকিছুই ঘটে।


👶 নবজাতকের Newborn Brain Development Timeline

বয়সমস্তিষ্কে কী ঘটে?
4–6 সপ্তাহ (গর্ভ)নিউরন তৈরি শুরু
2–3 মাস (গর্ভ)দ্রুত নিউরন গঠন
7–9 মাস (গর্ভ)নিউরন পূর্ণাঙ্গ গঠন শেষ
0–6 মাস (জন্মের পর)Synapse দ্রুত বৃদ্ধি
1–5 বছরব্রেইনের সবচেয়ে দ্রুত বিকাশ
10–18 বছরব্রেইনের মেমরি অংশ শক্তিশালী
25 বছরব্রেইন পুরোপুরি Mature হয়

🧠 ব্রেইনের নিউরন কীভাবে শক্তিশালী রাখা যায়?

  1. পর্যাপ্ত ঘুম (৭–৮ ঘন্টা)

  2. পুষ্টিকর খাবার (Omega-3, Walnut, Fish, Eggs)

  3. Deep breathing ও Meditation

  4. Digital Detox

  5. Exercise (রক্তসঞ্চালন বাড়ায়)

  6. Alcohol / Smoking থেকে দূরে থাকা


📌 উপসংহার

  • নিউরন হলো মস্তিষ্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোষ

  • গর্ভের ৪–৬ সপ্তাহ থেকে তৈরি শুরু হয়

  • জন্মের সময় বাচ্চার ব্রেইনে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন থাকে

  • এসব নিউরন সারাজীবন টিকে থাকে

  • জন্মের পর নতুন নিউরন তৈরি হয়, তবে খুব কম

ব্রেইন যত বেশি যত্ন নেবে, তত ভালো শেখা, স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি উন্নত হবে।

20251122

16:25

Oral Cancer: কেন হয়? সম্পূর্ণ গাইড |

Oral Cancer: কেন হয়? লক্ষণ ও কার্যকর প্রতিকার | সম্পূর্ণ গাইড

Oral Cancer: কেন হয়
Oral Cancer: কেন হয়

 Oral Cancer (মুখের ক্যান্সার) কী?

মুখ, জিহ্বা, ঠোঁট, গলা বা মুখের ভেতরের নরম টিস্যুতে অস্বাভাবিক কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকলে Oral Cancer হয়। সময়মতো শনাক্ত হলে চিকিৎসা খুবই কার্যকর।


Oral Cancer কেন হয়? (কারণ)

1. তামাকজাত দ্রব্য

  • সিগারেট, বিড়ি, জর্দা

  • গুটখা, পান-মসলা
    ➡ এগুলো মুখের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

2. অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন

মদ নিয়মিত খেলে মুখের টিস্যু দুর্বল হয়ে যায়।

3. HPV Infection (Human Papillomavirus)

বিশেষত HPV-16 ভাইরাস Oral Cancer-এর বড় কারণ।

4. মুখের ভেতর দীর্ঘদিনের ঘা বা জ্বালা

তীক্ষ্ণ দাঁত বা ডেন্টালের সমস্যায় বারবার ঘা হলে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

5. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (UV exposure)

অনেকক্ষণ রোদে কাজ করলে ঠোঁটের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

6. অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন

কম ভিটামিন, কম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অতিরিক্ত ঝাল-ঝাল খাবার।

7. বংশগত কারণ

পরিবারে পূর্বে থাকলে ঝুঁকি বেশি হতে পারে।


Oral Cancer-এর লক্ষণ (Symptoms)

✔️ মুখে দীর্ঘদিনের ঘা যা সারছে না
✔️ জিহ্বা বা ঠোঁটে অজানা ব্যথা
✔️ গালে বা গলার ভেতর ফোলা
✔️ মুখে সাদা বা লাল প্যাচ
✔️ গিলতে সমস্যা
✔️ গলার স্বর পরিবর্তন
✔️ মুখের এক পাশে অসাড় হয়ে যাওয়া
✔️ দাঁত ঢিলা হয়ে যাওয়া
✔️ মুখ থেকে দুর্গন্ধ
✔️ কানের ব্যথা

১৪ দিনের বেশি স্থায়ী কোনও লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের কাছে যান।


Oral Cancer কীভাবে শনাক্ত করা হয়? (Diagnosis)

  • Mouth Examination

  • Biopsy

  • Endoscopy

  • CT Scan / MRI

  • HPV Test


Oral Cancer-এর চিকিৎসা (Treatment / Protikar)

1. সার্জারি

অস্বাভাবিক টিউমার বা কোষ কেটে ফেলা।

2. রেডিয়েশন থেরাপি

ক্যান্সার কোষ ধ্বংসে শক্তিশালী রশ্মি প্রয়োগ।

3. কেমোথেরাপি

ওষুধের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ নষ্ট করা।

4. Targeted Therapy

ক্যান্সার কোষকে নির্দিষ্টভাবে আক্রমণ করে।

5. Immunotherapy

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সার মোকাবিলা।


Oral Cancer প্রতিরোধে করণীয় (Prevention Tips)

✔️ তামাক, গুটখা, সিগারেট সম্পূর্ণ পরিহার করুন

✔️ অ্যালকোহল কমান

✔️ মুখ পরিষ্কার রাখুন

✔️ পুষ্টিকর খাবার (সবজি, ফল) খান

✔️ UV লাইট থেকে ঠোঁট রক্ষা করুন

✔️ নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ করুন

✔️ HPV ভ্যাকসিন নিন (ডাক্তারের পরামর্শে)


উপসংহার

Oral Cancer একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ—তামাকজাত দ্রব্য পরিহার, নিয়মিত Oral Health Checkup এবং সঠিক চিকিৎসায় এর ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়। লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তার দেখানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

16:25

শীতকালে ভিটামিনসমৃদ্ধ সবজি: পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা |

শীতকালে ভিটামিনসমৃদ্ধ সবজি: পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা | Winter Vegetables Rich in Vitamins

❄️ শীতকালে ভিটামিনসমৃদ্ধ সবজি: পুষ্টিতে ভরপুর শীতের উপহার

শীতের সময় বাজারে নানান ধরনের তাজা ও পুষ্টিকর সবজি পাওয়া যায়। এই মৌসুমের সবজিগুলোতে ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে, যা শরীর গরম রাখে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই শীতকালকে বলা হয়—সবজি খাওয়ার সেরা সময়

নিচে শীতকালের সবচেয়ে ভিটামিনসমৃদ্ধ কিছু সবজি ও তাদের উপকারিতা তুলে ধরা হলো।


🥕 ১. গাজর – ভিটামিন A-এর প্রধান উৎস

গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি, ত্বক ও ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
উপকারিতা:

  • চোখের জন্য উপকারী

  • ত্বক উজ্জ্বল রাখে

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়


🥬 ২. পালং শাক – ভিটামিন C, K ও আয়রনে ভরপুর

শীতের পালং শাক শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণে অসাধারণ।
উপকারিতা:

  • হিমোগ্লোবিন বাড়ায়

  • হাড় মজবুত করে

  • ইমিউনিটি শক্তিশালী করে


🥦 ৩. ব্রকলি – ভিটামিন C, K ও ফলেট

ব্রকলি একটি সুপারফুড, যা ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে কার্যকর।
উপকারিতা:

  • শরীর ডিটক্স করে

  • হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে

  • কোষ রক্ষণাবেক্ষণ করে


🌿 ৪. মেথি পাতা – ভিটামিন A, C ও আয়রন

মেথি পাতার পুষ্টিগুণ শীতে শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।
উপকারিতা:

  • রক্তে সুগার কমাতে সাহায্য করে

  • হজমশক্তি বাড়ায়

  • ত্বক ও চুল ভালো রাখে


🥒 ৫. শিম – ভিটামিন B-কমপ্লেক্স ও ফাইবার

শীতের শিম পুষ্টিতে ভরপুর এবং শক্তি বাড়ায়।
উপকারিতা:

  • হজম ভালো রাখে

  • স্নায়ুর স্বাভাবিক কাজ বজায় রাখে

  • শরীরে শক্তি যোগায়


🥬 ৬. বাঁধাকপি – ভিটামিন C-এ সমৃদ্ধ

শীতের বাঁধাকপি খুব জনপ্রিয় ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
উপকারিতা:

  • ইমিউনিটি বাড়ায়

  • ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে

  • ত্বক সুন্দর রাখে


🟩 ৭. ফুলকপি – ভিটামিন C, K

ফুলকপি কম ক্যালোরি ও উচ্চ পুষ্টিগুণে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
উপকারিতা:

  • কোলেস্টেরল কমায়

  • মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে

  • ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে সহায়ক


🧄 ৮. রসুন ও পেঁয়াজ – প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক

শীতে রসুন ও পেঁয়াজ দারুণ কাজ করে।
উপকারিতা:

  • সংক্রমণ প্রতিরোধ

  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

  • সর্দি-কাশি কমায়


🍲 শীতের সবজি খাওয়ার উপকার বাড়াতে যেভাবে খাবেন

  • বেশি সেদ্ধ বা ভাজা এড়িয়ে হালকা রান্না করুন

  • সালাড, স্যুপ বা স্টিম করে খান

  • প্রতিদিন অন্তত ৩–৫ ধরনের সবজি ডায়েটে যুক্ত রাখুন

  • শীতের সবজি শিশু ও বয়স্কদের জন্য খুব উপকারী


✔️ উপসংহার

শীতকাল ভিটামিনসমৃদ্ধ সবজি খাওয়ার সেরা সময়। নিয়মিত শীতের সবজি খেলে শরীর সুস্থ থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং সারাবছর শরীর ফিট থাকে। তাই গাজর, পালং, ব্রকলি, মেথি, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, রসুন—এই সবজিগুলো অবশ্যই শীতের দৈনন্দিন মেনুতে রাখুন।