Oral Cancer: কেন হয়? লক্ষণ ও কার্যকর প্রতিকার | সম্পূর্ণ গাইড
| Oral Cancer: কেন হয় |
Oral Cancer (মুখের ক্যান্সার) কী?
মুখ, জিহ্বা, ঠোঁট, গলা বা মুখের ভেতরের নরম টিস্যুতে অস্বাভাবিক কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকলে Oral Cancer হয়। সময়মতো শনাক্ত হলে চিকিৎসা খুবই কার্যকর।
⭐ Oral Cancer কেন হয়? (কারণ)
1. তামাকজাত দ্রব্য
-
সিগারেট, বিড়ি, জর্দা
-
গুটখা, পান-মসলা
➡ এগুলো মুখের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
2. অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন
মদ নিয়মিত খেলে মুখের টিস্যু দুর্বল হয়ে যায়।
3. HPV Infection (Human Papillomavirus)
বিশেষত HPV-16 ভাইরাস Oral Cancer-এর বড় কারণ।
4. মুখের ভেতর দীর্ঘদিনের ঘা বা জ্বালা
তীক্ষ্ণ দাঁত বা ডেন্টালের সমস্যায় বারবার ঘা হলে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
5. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (UV exposure)
অনেকক্ষণ রোদে কাজ করলে ঠোঁটের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
6. অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন
কম ভিটামিন, কম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অতিরিক্ত ঝাল-ঝাল খাবার।
7. বংশগত কারণ
পরিবারে পূর্বে থাকলে ঝুঁকি বেশি হতে পারে।
⭐ Oral Cancer-এর লক্ষণ (Symptoms)
✔️ মুখে দীর্ঘদিনের ঘা যা সারছে না
✔️ জিহ্বা বা ঠোঁটে অজানা ব্যথা
✔️ গালে বা গলার ভেতর ফোলা
✔️ মুখে সাদা বা লাল প্যাচ
✔️ গিলতে সমস্যা
✔️ গলার স্বর পরিবর্তন
✔️ মুখের এক পাশে অসাড় হয়ে যাওয়া
✔️ দাঁত ঢিলা হয়ে যাওয়া
✔️ মুখ থেকে দুর্গন্ধ
✔️ কানের ব্যথা
➡ ১৪ দিনের বেশি স্থায়ী কোনও লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের কাছে যান।
⭐ Oral Cancer কীভাবে শনাক্ত করা হয়? (Diagnosis)
-
Mouth Examination
-
Biopsy
-
Endoscopy
-
CT Scan / MRI
-
HPV Test
⭐ Oral Cancer-এর চিকিৎসা (Treatment / Protikar)
1. সার্জারি
অস্বাভাবিক টিউমার বা কোষ কেটে ফেলা।
2. রেডিয়েশন থেরাপি
ক্যান্সার কোষ ধ্বংসে শক্তিশালী রশ্মি প্রয়োগ।
3. কেমোথেরাপি
ওষুধের মাধ্যমে ক্যান্সার কোষ নষ্ট করা।
4. Targeted Therapy
ক্যান্সার কোষকে নির্দিষ্টভাবে আক্রমণ করে।
5. Immunotherapy
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সার মোকাবিলা।
⭐ Oral Cancer প্রতিরোধে করণীয় (Prevention Tips)
✔️ তামাক, গুটখা, সিগারেট সম্পূর্ণ পরিহার করুন
✔️ অ্যালকোহল কমান
✔️ মুখ পরিষ্কার রাখুন
✔️ পুষ্টিকর খাবার (সবজি, ফল) খান
✔️ UV লাইট থেকে ঠোঁট রক্ষা করুন
✔️ নিয়মিত ডেন্টাল চেকআপ করুন
✔️ HPV ভ্যাকসিন নিন (ডাক্তারের পরামর্শে)
⭐ উপসংহার
Oral Cancer একটি প্রতিরোধযোগ্য রোগ—তামাকজাত দ্রব্য পরিহার, নিয়মিত Oral Health Checkup এবং সঠিক চিকিৎসায় এর ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়। লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তার দেখানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment